শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১২

ফেলে যাওয়া-২০১২

জীবনের ফেলে আসা একটি বছর
পাবনা'ক আর ফিরে
কত চেনা মুখ অচেনা হয়েছে

হাজারো লোকের ভিড়ে।
লক্ষ স্বপ্ন ডানা বেঁধে ছিল
মনের আকাশ জুড়ি
সামান্য বাদে সবগুলো তার
খাঁচা ছেড়ে গেছে উড়ি।
এসেছিল কিছু নতুন মুখের
বিব্রত আবদার
ফিরানো যায়নি বিরক্ত হয়ে
অভিমানে- সব তার।
ভুল বোঝা বুঝি অনেক হয়েছে
অল্প সময় ঘিরে
পাইনি ক্ষমা সবটুকু তার
হয়তো পাবনা ফিরে।
না পাওয়ার মাঝে যেটুক পেয়েছি
ভুলাবার সে তো নয়
জীবনের এই অল্প পাওয়া
অক্ষয় চির জয়।
মানুষ তো আমি- ভুলে ভরা তাই
বারবার চাই ক্ষমা
বন্ধু শত্রু সকলের তরে-
"কষ্ট রেখনা জমা"।

প্রযুক্তি কে নিয়ে...



আমরা তোমার ধরণীর বুকে জেগেছি কিছুপ্রাণ
তৃপ্ত মনে দৃপ্ত কন্ঠে ধরেছি স্লোগান।
আমরা জেগেছি নতুন স্বপ্নে, চাইতে পরিত্রাণ
আমরা মাগো মা আরেক বিজয়ে জাগ্রত সন্তান।।

তোমার ছেলেরা এনেছে বিজয় নতুন একটি দেশ
নতুন পতাকা উড়েছে বিশ্বে- হয়নি স্বপ্ন শেষ।
হয়নি আজো মুক্তি মাগো মা- পাইনি পরিত্রাণ
আমরা আনিব সফল মুক্তি, বিপ্লব অম্লান।।

হারবনা মোরা হারবনা কভু- নেই'ক তোমার ভয়
আমরা বিজয় আনব ছিনিয়ে- হোক'না সে দুর্জয়।
তোমার মুক্তি। মৃত্যুর দ্বারে আমরা অকুতোভয়
আমরা তোমার দামাল ছেলেরা- আনব ছিনিয়ে জয়।।

আমরা ফুটাবো পুষ্পের হাসি- ক্ষুধা মিটাবার তরে
শপথ নিয়েছি সংকট মিটাতে- কাঁপিনা আমরা ডরে।
নির্ঘুম মোরা, নির্ভীক মোরা- আনতে সত্য ভোর।
বিজয়ের হাসি ফুটাতে মোরা- সদ্য খুলেছি দোর।।

শোর উঠেছে বিশ্বে যখন জ্ঞান আর বিজ্ঞানে
আমরা চলেছি প্রযুক্তি পথে- তোমার মুক্তি ধ্যানে
ভয় নেই কোন ভয় নেই মাগো- রাখব তোমার মান
আমরা হটাব অশুভ ছায়ার- সুপ্ত অকল্যাণ।।

আমরা ছড়াব বিশ্বের কাছে বদ্বীপ বাংলাদেশ
আমরা ঘুচাব তোমার দুঃখ, বহতা শ্রান্তি-ক্লেশ।
আমরা এনেছি নতুন বার্তা মুক্তির জয়গান
তোমার বিজয়ে নির্ভীক মোরা আজীব আপ্রাণ।

অপেক্ষার শেষ বাণী

সদ্য জেগেছে চাঁদ
কুয়াশার ছাঁদে ঢাকা পড়ে গেছে
জোৎস্না ছড়ানো রাত
নিঝুম চারিপাশ-
একেলা আমি দৃষ্টি মেলেছি তাতে
কাহারারো ছায়ার বিম্ব এঁকেছি আঁখির পাতায়
আমি একেলা-
নিঝুম চারিপাশ
ছায়া নয় সে মায়া হরিণ।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ

নেই’ক আলো পূর্বাভাষ কোনো-
প্রভাতের কত দেরি?
ঐ আসে তেড়ে সব বাঁধা ছেড়ে
ডিঙিয়ে মেঘের ভেড়ি।
আসা তার ভুল-
প্রভাত আসেনা’ক- আসে নিছক আলো
আঁধারে জাগা আলোর পলশা মুছতে কালো।

ব্যাহত আমার দৃষ্টি মেলা-
আলো আর আঁধারের লুকোচুরি
মিছে আমি আর আমার ব্যর্থ আকুলি।
আমার মিনতি কেউ শোনে না
কেউ দেখে না কষ্টের ভার।
যুগ যুগ ধরে বয়ে নিয়ে চলা
পথ চেয়ে থাকা কার?
কেউ আসেনা’ক। আসবে কখনো আর।
সবপ্নগুলো রঙিন হবে না। সাদাকালো-
তুমি আর তোমার পৃথিবী।
হাজার বছরের কান্তিগুলো-
রাখা আছে
আছে জমা।
বলতেই হবে তুমি ভুল করে পথ চেয়ে আছ
চাইতেই হবে ক্ষমা।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১২

স্পষ্ট কথা

কবি নই আমি কাব্য পাঠক- লিখিবার করি ভান
বলি শোনো তারা ভুল ভেবে যারা করিতেছ অভিমান।
দিবা রাত্রির স্বপ্ন আমার কাড়িতেছে রোজ ঘুম
মাঝে মাঝে তাই কলম তুলিয়া লিখিতেছি নির্মম।
নাট্য মঞ্চে কার্য্য সারিয়া অভিনেতা নীরবে কাঁদে
আমি লিখি যারা বিপথগামী দুর্বিত্তের ফাঁদে।
রোজ যে নারীর রক্ত চুষিয়া পুলকিত মরি মরি
আমি ও আমরা- কলমের কালি; তাহাদের ঘৃণা করি।
অখাদ্য খায় বিপদে পড়িয়া, নির্লজ্জতা হারে
শ্রদ্ধা জানায় যে নারী ক্ষুধায় সমাজের ভয় ছাড়ে।
ধিক্কার বলি বিত্তের টানে করে যারা সব দান
সুশিলতা বলে শ্লীলহানি যারা ভাবিতেছে সম্মান।

মানুষ

কবে আমি মানুষ হব- মানুষ যারে কয়
কবে আমি দেখতে পাব মানুষ হবার জয়।
মানুষ হবার স্বপ্ন কবে শেষ?
মানুষ বলে একটা মানুষ গুনবে আমায় দেশ।
আমায় প্রভু মানুষ বানাও- মুখশধারী নয়
সত্যিকারের মানুষ বলে- মানুষ যারে কয়।

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

স্বভাব

আমি চাঁদ নয়; দেখি তাঁরা-
তিমির রাত্রি, দুর্গম পথে- পথ খুঁজে দেয় যারা।
খুঁজে খুঁজে যত অচল পয়সা- আমি করি সব জড়ো
একযুগ পরে ফিরে দেখি তারে; আমায় করেছে বড়।

সচেষ্ট আমি; দারিদ্রকে করি জয়
নির্ভীক তবুও অনাহারে থেকে; ক্ষুধাকে করিনা ভয়।
বিপ্ল্ববী মন হতাশাকে চিনে দূর থেকে করে তাড়া
বিষন্ন হলে অশ্রু ফেলেনা, হয়না ছন্নছাড়া।
লোভ নেই মনে- অর্থ কড়ির, বিদ্যাকে টানে ঘরে
সততা আমাকে ভাবায় বেশি- মাতৃহারার তরে।
পথের ধুলা পায়ে লেগে চলা- দুঃখ আনেনা মনে
রুক্ষ কথায় দুঃখ করে- বলিনা'ক জনে জনে।

তোমার কষ্ট- একাকিত্ব

কখনো কি রাত দেখেছ জেগে জেগে?
সারা রাত!!
দেখেছ কি রাতের কষ্ট কি?
রাতের কষ্ট আঁধার।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছ?
কত আনন্দ বিলায় তাই না!!
বল তার কষ্ট কি?
তারও কষ্ট আছে- চন্দ্রগ্রহণ।
তাহলে তোমার কষ্ট কি?
তোমার কষ্টটা আমি জানি!!
তোমার কষ্ট- একাকিত্ব।